আরেকটি বছর আজ বিদায় নিচ্ছে। কবির ভাষায়, ‘রূপ রস ও গন্ধময়/ পৃথিবী হতে বিদায় লয়/ পুরাতন বর্ষ শেষ হয়।’ পুরাতনকে হাসি মুখেই বিদায় দিতে প্রস্তুত আমরা। প্রস্তুত শেষরজনী উদযাপনে। স্বাগত জানাবো নতুন সূর্যকে।
বছর ঘুরে আবার আমাদের দ্বারপ্রান্তে নতুন বছর।
বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যা, গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে। আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দানকারী আওয়ামী লীগ, এই দলটি দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। দেশ এগিয়েছে অনেক। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য হ্রাসসহ নানা ক্ষেত্রে এশিয়ার বহু দেশের শীর্ষে অবস্থান, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাফল্য বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। গত এক বছর আমাদের জন্য অনেক কারণেই আলোচিত-সমালোচিত। তবুও আমরা থমকে যাইনি। সফলতা-ব্যর্থতাও আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমরা হোচট পথে চলতে চলতে দুরন্ত পথিক হয়েছি।
প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রামে খ্রিস্টীয় বছর শেষের রাতকে উপভোগ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং ক্লাবগুলোতে এ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তারকাখচিত হোটেলগুলোর পাশাপাশি অনেক স্থানে ছোট পরিসরেও আয়োজন করা হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের। হোটেল রেস্তোরাঁয় রকমারি খাবার-দাবারেরও আয়োজন রয়েছে। এবারও বর্ষ বিদায়ের রাতটিকে উদযাপন করতে নগরজুড়ে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।
রাত পোহালেই ২০১৯ সালের সূর্যোদয় হবে। আমরা চাই সৌহার্দ্য, সম্প্রীতিময় বাংলদেশ। যেখানে থাকবেনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য। বিদায়ী বছরে অর্জিত সাফল্যগুলো যে কোনো মূল্যে আগামীতেও ধরে রাখতে হবে।