রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
খবর
শাহতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
2023-09-23 00:05:02
স্টাফ রিপোর্টারঃ

চাঁদপুর সদর উপজেলায় শাহতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। মন খুশি করার টাকা না পেলেই হয়রানির ফাঁদে ফেলা হচ্ছে সেবাপ্রত্যাশীদের। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, শাহতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

মৈশাদী  ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বিরুদ্ধে যোগাদানের পর থেকে থেমে নেই অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগ আসা যেন এখন নিত্যসঙ্গী।  সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা ও কম নয়। পদে পদে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে। মৈশাদী গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া  ক্রয়কৃত ৪ শতাংশ জমির খারিজ করাতে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা। এর নিছে খারিজ সম্ভাব নয়। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়,  ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অফিসে আসে নিজের মন গড়া মত কখনো ১১টা, আবার কখনো ১টা। শুধু তাই নয় তসিলদার মোয়াজ্জে কাছে কোন কাজ নিয়ে অফিসে আসলে তিনি সেবা প্রত্য্যাশীদের বাবুরহাট জিন্টু সুপার মারকেট  তার ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে  নিজের ইচ্ছে মত টাকা হাতায়। বিকেল ৫টার পর সেখানে তাকে পাওয়া যাবে সকল সেবা প্রত্যাশীদের বলেন । তার কথামত কাজ না হলেই হয়রানি শুরু সেবাপ্রত্যাশীদের। মোয়াজ্জেম হোসেন ভূমি কর্মকর্তা অতিরিক্ত টাকা দিলে সব কাজ হয়ে যায় দ্রæত। নিয়ম আর অনিয়ম কোনটাই সমস্যা নেই। এ যেন এক রামরাজুত্বের স্বর্গরার্জ গড়ে তুলছেন মোয়াজ্জেম। 

অফিস সহায়ক তাহমিনা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নির্দেশে খারিজ করতে আসা গ্রাহক নুরু মিয়ার কাছ থেকে ৪ শতাংশ বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা নেন। 

এছাড়াও তসিলদার মোয়াজ্জেম পূর্বের কর্মরত  নারগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিস থাকাকালীন সময়ে  রুহুল আমিন নামে এক জনের কাছ থেকে খারিজ করে দিবে বলে ১১ হাজার টাকা নেন, কিন্তু রুহুল আমিনের কাজ এ পর্যন্ত তিনি করে দেয়নি তিনি। গত ২০ আগস্ট তার খোঁজে রুহুল আমিন তার বর্তমান কর্মস্থল শাহতলী  ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তিনি আসেন, এ সময় তার সাথে এ বিষয়ে কথা হয়। সেখানে কর্মরত অবস্থার কিছু অনিয়মের কথা তিনি বলেন।

মৈশাদী ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি বলেন, ওই ভূমি কর্মকর্তা ঘুষ ছাড়া কোন কাজই বুঝেন না। তারা বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে দেখতে পাই খারিজ বা নামজারি করতে ১ হাজার একশ’ ৭০ টাকা লাগে, অতিরিক্ত কোন টাকা লাগে না। কিন্তু এই কর্মকর্তার কাছে ভূমির খারিজ করতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। তারা আরো বলেন, এই মোয়াজ্জেন মত মুখোশধারী কর্মকর্তার জন্য  সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খারিজ করতে আসা নুরু মিয়া বলেন, আমি অফিসে আসলে অফিস সহায়ক তাহমিনা আামর কাছে থেকে ৪ শতাংশ জমি খারিজ করে দিবে বলে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন।

এখানেই শেষ নয়, তিনি শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন, সেখানে সপ্তাহ একদিন মঙ্গলবার সেখানে অফিস করেন, সে ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগের কমতি নেই। খারজনা দিতে প্রতিনিয়ত শাহমাহমুদপুর মানুষের দুর্ভোগের অন্তঃনেই। সেখানে দায়িত্বরত আরেকগন হোসনেয়ারা সেও দায়িত্বহীন বক্তব্য দেন, খাজনা দিতে তাদের যে অনলাইনের পার্সওয়ার্ড রয়েছে, সে পার্সওয়ার্ড তার কাছে নেই। এখন শাহমাহমুদপুরবাসী যাবে কোথায়। হোসনেয়ারা ও একজন টাকার কুমির বলে শাহমাহমুদপুরবাসী অভিযোগ করেন। 

এ বিষয়ে অফিস সহায়ক তাহমিনা বলেন আমি টাকা নেই আমাদের   স্যার মোয়াজ্জেম স্যারের কথায় এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। 

 অভিযুক্ত মোঃ মোয়াজ্জেম বলেন, বিষয়টি সম্পূন্ন সত্য নয়, টাকা নেয়ার বিষয়টিতে তিনি এড়িয়ে যান।