প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস রেখে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী এবং রাজাকারদের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এখনো রাজাকারদের বংশধররা দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তারা একটি মহল মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে মানুষের সামণে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। যা নতুন প্রজন্মের জন্য মারাত্মর হুমকির বিষয়।
এমএ কুদ্দুস বলেন, সেই দিন আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ি মহান মুক্তিযুদ্ধে। আমাদের কাছে কোন অস্ত্র ছিলনা, আমাদের কোন হাতিয়ান বা আত্মরক্ষার কোন কিছু ছিল না। শুধু ছিল মনের শক্তি আর বঙ্গবন্ধুর নিদের্শ, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে নেমে পড়ো মুক্তিযুদ্ধে। আমাদের কারো গায়ে পোষাক ছিলনা, এক পোষাক বহুদিন পড়ে ছিলাম। বাশি পচা খাবার খেয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমার বড় ভাই এমএ ওয়াদুদ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে পড়েছিলেন। সেই থেকে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু পরবর্তীতে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তার অপরাধ হল বাঙালী জাতির অধিকার নিশ্চিত করে, মানুষের খাদ্য, স্বাস্থ্য, বস্ত্র শিক্ষা নিশ্চিত করে সোনার বাংলা গড়ার কাজ হাতে নিয়েছিলেন। আর এটা স্বাধীনতা বিরোধীরা সহ্য করতে পারেনি। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই মনে হয় সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাহিরে থাকায় বেচে যান। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে বাংলাদেশের হাল ধরেন এবং আমরা পেয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবধরনের সেবা, সবধরনের ভাতা থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন ও মেঘা প্রকল্প। এই উন্নয়ন নিয়েও এখন দেশে ষড়যন্ত্র করছে ঐ বিএনপি জামায়াত। কিন্তু জনগণ তা হতে দিবে না। আগামী নির্বাচনে আবারো ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে জনগণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন পাটোয়ারীর উপস্থাপনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার মোজাম্মেল হক, ছেংগারচর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার আব্দুস ছাত্তার।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান প্রধান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বোরহান প্রমুখ। আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুল হাসান বাবু (বাতেন), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ পারভেজ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবাবর্গের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া করা হয়।