আমার শহর
কাউছার আক্তার পান্না
হায় লাজে মরি মরি
অতিথি এসেছে আমার বাড়ি
কী দিয়ে তোমাদের করবো বরণ
অনাড়ম্বর আমার আবাসন।
বড়ো বড়ো শহর কত দালান কোঠা
দামি দামি তৈজসে সাজানো
তোমাদের অট্টালিকা।
আমার তেমন কিছু নেই
আছে গর্বিত ইতিহাস,
আমার শহর স্বাধীনতার সূতিকাগার
কণ্ঠ যোদ্ধার মুখ জুড়ে ছিলো অগ্নি কোরাস।
আমি আজ যেই বাড়িতে করছি অবস্থান
বঙ্গবন্ধুর দীপ্ত পদচারণায়
সেই বাড়ির ধূলিকণা এখনও অম্লান।
প্রাচ্যের ডাণ্ডিখ্যাত আমার মফস্বল শহর
রানী এলিজাবেথের পদার্পণ ---
সে যে এক স্মৃতিময় খবর।
আমার জেলা শহর যেই নদীর তীরে
কোন এককালে সেই নদীর পানি
পাঠানো হতো বৃটেনের রাজপরিবারে।
জানো কী তবে আমার বসত কোন নদীর তীরে ?
বলছি শোন,
শীতলক্ষ্যার তীরে আমার স্বামীর ভিটে।
ভুলতে কী বসেছো বন্ধু
বার ভুঁইয়াদের গৌরব গাঁথা বাহাদুরি !
না না ভুলনা, আজও জীবন্ত তাজা
আমার বাড়ির প্রাচীর ঘেঁষেই রয়েছে
সেই নিটোল জলরাশি।
আরো শোন !
নারীর ভুবন জুড়ে যেই শাড়ির কদর
সেই জামদানী পল্লী আমার নগর
নিখুঁত কারুকাজ আর বিশাল বহর
দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিকতায় কাড়ে সবার নজর।
শোন তবে, আরো খানিকটা,
বিশ্ব কারুশিল্প কর্তৃপক্ষ
আমার জেলা শহরের সোনার গাঁ কে দিয়েছে--
বিশ্ব কারুশিল্পের খ্যাতি
এ আমাদের জন্য অসামান্য প্রাপ্তি।