জানা যায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন 'টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডার প্রিভিলেজড রুলার ইয়ং পিপল অফ বাংলাদেশ' সংক্ষেপে টেকাব শীর্ষক কারিগরি সহায়তায় মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ভ্রাম্যমান কম্পিউটার ভ্যানে ৪৪ দিনব্যাপী ৪০ জন প্রশিক্ষনার্থী কে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার বেকার ২০ জন তরুণ ও ২০ জন তরুণী অংশগ্রহণ করে।
যুব উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৪৪ দিনব্যাপী চলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য জনপ্রতি যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা এবং নাস্তার জন্য ১০০ টাকা সহ মোট ৩০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই হিসেবে প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থীর অনুকূলে নাস্তার টাকার থেকে পনেরো শতাংশ ভ্যাট কর্তন করার পর মোট ১২,৫৪০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রশিক্ষনার্থী উক্ত নির্ধারিত টাকা পাননি বলে জানায়।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী একাধিক বেকার তরুণ তরুণীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রশিক্ষণ শেষে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহমেদ তাদের কাউকে ছয় হাজার নয়শত টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার একশত টাকা প্রদান করেন। এতে তিনি প্রশিক্ষনার্থীদের সম্মানী ভাতার বিশাল অংকের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন প্রশিক্ষনার্থীরা। এদিকে বেকার যুবকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়িটির বিপরীতে বরাদ্দকৃত জ্বালানির অর্থ নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী বেকার তরুন তরুনীদের সম্মানী ভাতা কম দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহমেদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি, তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করার কথা জানান।