বীর মু্ক্তিযোদ্ধা এম এ আহাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্ত রাষ্ট্র প্রবাসীনেতৃবৃনদ ।
এক শোক বার্তায় যুকত রাষ্ট্র প্রবাসী নেতৃবৃনদ মরহুমের কর্মময় জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পুর্ব ও পরবর্তী সময়ে এম এ আহাদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে নিজের সাংগঠনিক যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে সিলেট অঞল থেকে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতির অগ্রভাগের একজন নেতা হিসেবে স্হান দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে সাংগঠনিক দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।একজন পরিচ্ছন্ন ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সকলের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেট সহ দেশবাসী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনকে হারালো। খবর বাপসনিউজ।
প্রবাসী নেতৃবৃনদ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, মরহুম এম এ আহাদ চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ও জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্টাতাকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এন আর বি গ্লোবাল লাইফ ইনসুরেন্সে লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চট্রগ্রামের সাবেক মন্ত্রী,বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরীর জামাতা ছিলেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী ইন্তেকালের পর তার মেয়ে শিরিনের সাথে এম এ আহাদের বিয়ের সকল কিছু করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিজ কন্যার বিয়ের মতো সকল আয়োজন করেছিলেন তিনি। এম এ আহাদ কানাডার মন্ট্রিয়াল এবং অন্টারিও শহরে বাঙালি কমিউনিটির প্রিয় নাম। আওয়ামী লীগ পরিবারের প্রিয় মানুষ। ১৯৮৮ সালে আহাদের উদ্যোগে প্রথম কানাডা আওয়ামী লীগ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তার বাসায় মন্ট্রিয়ালের স্থানীয় বাঙালি প্রবাসী, বঙ্গবন্ধু প্রেমিক , মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক কর্মীবৃন্দ নিয়ে- কানাডা কমিটি গঠনের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯১ সালে পূর্ণাঙ্গ কানাডা আওয়ামী লীগ কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৯৩ সালে শেখ হাসিনা প্রথম কানাডা সফর করেন, মন্ট্রিয়াল DAWSON কলেজের মিলায়াতনের সভায় তিনি প্রস্তাব রাখেন কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কমিটিকে- বাংলাদশের জেলা কমিটি অথবা মহানগর কমিটির সমমর্যাদা যেন দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী এই প্রস্তাব পাশ করেন।
তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্রগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে সোমবার( ২৪ মে) রাত ২ টায় ইন্তেকাল করেন। আহাদ চৌধুরীর বাড়ী সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের পীল্লাকান্দী গ্রামে।
মরহুম আহাদের নামাজে জানাজা সোমবার সকাল ১০টায় চট্রগামের দামপাড়াস্হ বর্তমান বাস ভবন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। বাদ মাগরিব সিলেটের জকিগঞ্জে গ্রামের বাড়ীতে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে পিতা মাতার পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।মরহুম আব্দুল আহাদ চেীধুরী প্রয়ানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বংগবনধু পরিষদ যুক্তরাষট এর সভাপতি ড.নুরান নবী ,ভা:সাধারন সম্পাদক রেফায়েত চেীধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম,,লেখক সিকদার গিয়াস ঊদ্দিন ,ভৃততবিদ গিয়াস উদ্দীন আহমেদ,সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সাংবাদিক মো:নাসির,কবি এবিএম সালেহ উদদীন,আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান মিলন ,সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,, এমএ করিম জাহাংগীর,ফিরোজ আহমেদ কল্লোল,ওসমান গনি,সুহাস বডুয়া,বিশ্বজিৎ সাহা,নাসিম পারভিন পারু,দেলওয়ার মানিক,শাহাদত হোসেন,ফিরোজ মাহমুদ,জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ও সাধারন সম্পাদক সামসুঊদদিন আহমেদ শামীম,সহ নিউইয়কের রাজনীতিক,কবি,লেখক.সাংবাদিক,শিল্পী এবং আরও অনেক গন্যমান্য জন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য ও চিত্রে রিপোর্টে করেছেন মোঃহারুনুর রশিদ-