এস.কে মাসুদ রানা:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অসহায় ও দুঃস্থরা যাতে খেয়েপড়ে বেঁচে থাকতে পারে সেজন্য সরকার ব্যাপকভাবে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু লোভী কিছু জনপ্রতিনিধিদের কারণে সরকারের এ মহা পরিকল্পনা ও কল্যানমূলক কাজ তার সফলতার মুখ দেখতে পারছেনা।
তাই সম্পৃক্তদের স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগ একাংশের সভাপতি, জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি জসীম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ ক্রান্তিলগ্নে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। হতদরিদ্রদের মাঝে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে না। বেশ কিছু সংসদ সদস্য, মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও ইউপি মেম্বাররা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। যা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এনএসআই, ডিজিএফআই ও দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে অনিয়মকারীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা জোড়ালো দাবী জানাই।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছে এসে হতদরিদ্র ও নিরীহ মানুষরা দুঃখ কষ্টের কথা বলে থাকেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের ত্যাগ ও শ্রমের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের ক্ষমতায়। অনেকেই আজ দলের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অনেক বড় বড় মন্ত্রী, এমপি, বড় নেতা বা বড় ব্যবসায়ী হয়েছেন কিন্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ণের পরিস্থিতি আজও সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় বর্তমান সংকটময় সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকে ডাকেন না বা সম্পৃক্ত করেন না। তাদের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে সকল কাজ করছেন বা প্রয়োজনে তাদের নামই আবার হতদরিদ্রদের তালিকায় বসিয়ে দিচ্ছেন।
সুবিধাভোগী বা হাইব্রীডরা সুসময়ের বন্ধু, দলের দুঃসময়ে তাদের পাওয়া যাবেনা। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ও সম্মান ক্ষুন্ন করে ও দলীয় সাংগঠনিক ত্যাগী নেতাদের ভিতরে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে পিছন থেকে সরে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে দল সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হয়ে যেতে পারে এবং উপেক্ষিত নেতা-কর্মীরা বর্তমানে যারা সরকারি ত্রাণ দিতে পারছেনা তারা ভোটের সময় ঘরে ঘরে গিয়ে কিভাবে ভোট চাইবে সেটা খুব ভাবনার বিষয়। তাই বিষয়গুলো সদয় বিবেচনায় নিতে দলের হাইকমান্ডকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।