রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
খবর
পর্দা না করার ভয়াবহ পরিণাম
2019-09-01 20:45:07
বিশেষ প্রতিনিধি

পর্দা না করার ভয়াবহ পরিণামঃ
.
পঞ্চাশ ষাটটি সাপের উপরই কবর দেওয়া হল মেয়েটিকেঃ
.
১৯৮৬ সালে করাচীর “দৈনিক জং” পত্রিকায় এক দুঃখিনী মায়ের লেখা একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছিল।
.
সেই চিঠিতে মহিলা লিখেছেন, আমার বড় মেয়ে কিছুদিন আগে মারা গেছে। তাকে কবর দেওয়ার জন্য কবর খনন করা হলে দেখা গেল, পঞ্চাশ ষাটটি সাপ কবরে কিলবিল করছে। এ অবস্থা দেখে দ্বিতীয় তারপর তৃতীয় জায়গায় কবর খনন করা হলো। যেখানেই কবর খনন করা হচ্ছিলো সেখানেই ওসব সাপ দেখা যাচ্ছিলো।
.
পরামর্শ করে আত্বীয়-স্বজন সেই সাপের উপরেই আমার মেয়ের লাশ রেখে মাটি চাপা দিয়ে ঘরে ফিরে এলো। মেয়েকে কবর দিয়ে ঘরে ফিরার পর মেয়েটির পিতা আমার স্বামী মাথার চুল ছিঁড়তে লাগলেন আর কাঁদতে লাগলেন।
.
আমার দুঃখিনী মেয়েটি নামাজ রোজা নিয়মিত আদায় করতো কিন্তু তার দোষ ছিল একটাই, সে ছিল অত্যন্ত ফ্যাশনপ্রিয়। সব সময় সেজে থাকতো। ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় উগ্র সাজগোজ করতো। আমি নিষেধ করলে আমাকে অপমান করতো। মুখে যা আসে তাই বলতো। আমার কোন কথাই সে শুনতো না।
.
কবরে মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় ধনুকের মত বেঁকে আছেঃ
.
১৪১৪ হিজরীর শাবান মাসের শেষ শুক্রবার। আমার এক বন্ধু করাচীর কুরুঙ্গি এলাকার একটি ঘটনা আমাকে জানালো। সে শপথ করে বললো, আমি যা বলছি একটি শব্দও মিথ্যা নয়।
.
আমার এক আত্নীয়ের যুবতী মেয়ে হঠাৎ মারা গেল। সে মেয়েটিকে কবর দেওয়ার সময় কবরে তার পিতাও নেমেছিলেন। ঘরে ফেরার পর পিতার মনে পড়লো, তার হ্যান্ডব্যাগ কবরে রয়ে গেছে। ব্যাগে জরুরি কাগজপত্র থাকায় পুণরায় কবর খনন করা হল। উপরের মাটি সরিয়ে একখানা তক্তা সরিয়ে ভিতরে তাকিয়ে মেয়েটির পিতা চিৎকার দিয়ে দূরে সরে এলেন।
.
কি হয়েছে? কি দেখলেন? চিৎকার দিচ্ছেন কেন? এসব কথার জবাবে মেয়েটির পিতা জানালো, সাদা ধবধবে কাফনে জড়িয়ে মেয়েকে কবর দিলাম। তাকিয়ে দেখি গায়ে কাফন নেই। আমার মেয়ে ধনুকের মত বেঁকে আছে, তার মাথার চুল দিয়ে তার দুই পা বাঁধা, ভয়ানক ছোট বিচ্ছুর মত প্রাণী মেয়েটির সারা দেহ লেপটে আছে। এ অবস্থ দেখে মেয়েটির পিতা তার হ্যান্ডব্যাগের কথা ভুলে গেলেন, তাড়াতাড়ি মাটি চাপা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরে এলেন।
.
মেয়েটির জীবন যাপন সম্পর্কে আমি খোঁজ নিলাম। মেয়েটির মা বাবা বললো, তার মধ্যে আপত্তিকর কোন দোষ আমাদের চোখে ধরা পড়ে নাই। তবে অন্য মেয়েদের মত ছিল সে ফ্যাশনপ্রিয়। ফ্যাশনেবল ছিল তার চালচলন। সে কখনও পর্দা করেনি। বেপর্দা অবস্থায় চলাফেরা করতো। কয়েকদিন আগে উগ্র সাজে সেজে এক আত্নীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠনে যোগদান করেছিল।
.
.
(বইঃ চোখে দেখা কবরের আযাব, লেখকঃ মাওলানা তারিক জামিল)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মা বোনদেরকে সঠিক ভাবে শরয়ি পর্দা করার তৌফিক দান করুক। আমিন