বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত চারজন শপথ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ। সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শপথ নেওয়ার জন্য সংসদ ভবনে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত চারজন শপথ গ্রহণ করেন।
শপথ নেওয়া চার সংসদ সদস্য হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন অর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।
সংবিধান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ নেওয়ার শেষ দিন সোমবার। সংবিধানে বলা আছে, সংসদের প্রথম বৈঠকের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সদস্যপদ বাতিল করে আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসে গত ৩০ জানুয়ারি। এই হিসাবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ নিতে হবে।
এর আগে, গতকাল রোববার রাতে তিন সাংসদ উকিল আবদুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলামকে নিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের কারাবন্দি অবস্থায় ওই তিনজনকে শপথ না নিতে অনুরোধ করা হয়। একপর্যায়ে তিন সাংসদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে পৃথকভাবে একান্তে কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে মাত্র আটটি আসনে জয় পায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের মধ্যে বিএনপি থেকে ছয় জন এবং গণফোরাম থেকে নির্বাচিত হন দু’জন। তবে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটের দিন রাতেই ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী আট প্রার্থীর কেউ শপথ নেবেন না।
এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ৭ মার্চ শপথ নেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও ২ এপ্রিল শপথ নেন সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের আরেক প্রার্থী মোকাব্বির খান। সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান।